ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত পানি না দিলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব -মোস্তফা জামাল হায়দার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জাতীয় পার্টির (জাফর অংশ) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, বাংলায় কথা আছে ঠেলার নাম বাবাজি। তিস্তা বাঁচাও এই কর্মসূচি যখন ৬০ দিন আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, এরপর গত কয়েক দিন আগে ভারত পানি ছাড়া শুরু করেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ঘোষণা করতে চাই, যদি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা না দাও তাহলে আমরা এককভাবে ‹তিস্তা মহাপরিকল্পনা› বাস্তবায়ন করব। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের অধিকার আছে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তিস্তার এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। গতকাল সোমবার রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার মাঝে তিস্তা রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন চরে তিস্তা রক্ষা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তাবায়নের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের সভাপতিত্বে করেন ‹তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি›র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতকে পরিস্কার করে বলতে চাই। আগেও বলেছি, এখনো বলছি, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্তে গুলি করে হত্যা বন্ধ করেন। আর আমাদের সঙ্গে বড় দাদার মতো আচরন বন্ধ করেন। তিনি আরও বলেন, ‹আমরা আমাদের পায়ের উপরে দাড়াতে চাই। আমরা আমাদের পানির হিস্যা বুঝে নিতে চাই। আমরা অবশ্যই ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। কিন্তু সেটা হবে সম্মানের সঙ্গে আমার যে পাওয়না সেটা বুঝে দেয়ার সঙ্গে।›

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে যে আন্দোলন শুরু হলো, এটা আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে মার্চ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সরকার আসলো। সবাই ভাবলো, ভারতের বন্ধু আওয়ামীলীগ। সুতরাং তিস্তার পানি মনে হয় এবার পেয়েই যাবে। লবঢংক। ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে বেঁচে দিছে, কিন্তু তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারে নাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪ টা নদী আছে, সব গুলো নদীর উজানে তারা বাধ দিয়ে দিয়েছে। তারা পানি নিয়ে যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ ফসল ফলাতে পারে না, জীবন-জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়।

প্রত্যেক মানুষকে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। একদিকে ভারত আমাদেরকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের শত্রুকে (শেখ হাসিনা) তারা তাদের দেশে বসিয়ে রেখেছে। দিল্লিতে রাজার হালে বসিয়ে রেখেছে।

একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব এখন সময় এসেছে ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলার। তিস্তার পানির ন্যায্য হিসসা পেতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের সরকারকে যেতে হবে। মাওলানা ভাষানীর মত প্রয়োজন হলে আবারো আমরা লং মার্চের আয়োজন করব। এবাই তিস্তার লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে, যদি এই জনপদের লোকদের বাচাতে চাই।

সভাপতির বক্তব্য ‘তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি›র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, বহু পথ বহু সময় আমরা অতিক্রম করেছি। দীর্ঘ সময় স্বৈরশাসকের যাতা কলে আমরা পরে ছিলাম। কথা বলতে পারি নাই, সোভা যাত্রা তো দূরের কথা, মিছিল তো দঃরের কথা। এখন মুক্ত বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে আমাদের কথা বলার অধিকার সৃষ্টি হয়েছে। এই রংপুর ছিল রঙ্গে রসে ভরপুর। তাকে আজ বিড়ান ভূমিতে পরিনত করা হয়েছে।

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সারিয়াকান্দি পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য

ভারত পানি না দিলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব -মোস্তফা জামাল হায়দার

প্রকাশের সময়ঃ ০৯:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জাতীয় পার্টির (জাফর অংশ) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, বাংলায় কথা আছে ঠেলার নাম বাবাজি। তিস্তা বাঁচাও এই কর্মসূচি যখন ৬০ দিন আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, এরপর গত কয়েক দিন আগে ভারত পানি ছাড়া শুরু করেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ঘোষণা করতে চাই, যদি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা না দাও তাহলে আমরা এককভাবে ‹তিস্তা মহাপরিকল্পনা› বাস্তবায়ন করব। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের অধিকার আছে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তিস্তার এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। গতকাল সোমবার রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার মাঝে তিস্তা রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন চরে তিস্তা রক্ষা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তাবায়নের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের সভাপতিত্বে করেন ‹তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি›র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতকে পরিস্কার করে বলতে চাই। আগেও বলেছি, এখনো বলছি, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্তে গুলি করে হত্যা বন্ধ করেন। আর আমাদের সঙ্গে বড় দাদার মতো আচরন বন্ধ করেন। তিনি আরও বলেন, ‹আমরা আমাদের পায়ের উপরে দাড়াতে চাই। আমরা আমাদের পানির হিস্যা বুঝে নিতে চাই। আমরা অবশ্যই ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। কিন্তু সেটা হবে সম্মানের সঙ্গে আমার যে পাওয়না সেটা বুঝে দেয়ার সঙ্গে।›

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে যে আন্দোলন শুরু হলো, এটা আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে মার্চ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সরকার আসলো। সবাই ভাবলো, ভারতের বন্ধু আওয়ামীলীগ। সুতরাং তিস্তার পানি মনে হয় এবার পেয়েই যাবে। লবঢংক। ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে বেঁচে দিছে, কিন্তু তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারে নাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪ টা নদী আছে, সব গুলো নদীর উজানে তারা বাধ দিয়ে দিয়েছে। তারা পানি নিয়ে যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ ফসল ফলাতে পারে না, জীবন-জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়।

প্রত্যেক মানুষকে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। একদিকে ভারত আমাদেরকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের শত্রুকে (শেখ হাসিনা) তারা তাদের দেশে বসিয়ে রেখেছে। দিল্লিতে রাজার হালে বসিয়ে রেখেছে।

একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব এখন সময় এসেছে ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলার। তিস্তার পানির ন্যায্য হিসসা পেতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের সরকারকে যেতে হবে। মাওলানা ভাষানীর মত প্রয়োজন হলে আবারো আমরা লং মার্চের আয়োজন করব। এবাই তিস্তার লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে, যদি এই জনপদের লোকদের বাচাতে চাই।

সভাপতির বক্তব্য ‘তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি›র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, বহু পথ বহু সময় আমরা অতিক্রম করেছি। দীর্ঘ সময় স্বৈরশাসকের যাতা কলে আমরা পরে ছিলাম। কথা বলতে পারি নাই, সোভা যাত্রা তো দূরের কথা, মিছিল তো দঃরের কথা। এখন মুক্ত বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে আমাদের কথা বলার অধিকার সৃষ্টি হয়েছে। এই রংপুর ছিল রঙ্গে রসে ভরপুর। তাকে আজ বিড়ান ভূমিতে পরিনত করা হয়েছে।