স্বদেশ চিত্র প্রতিবেদন
আজ মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত রাত শবে কদর। লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাতগুলোর মধ্যে একটি, যা রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯তম রাত) অনুসন্ধানের মাধ্যমে পালন করা হয়। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম বলে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে।
সূরা আল-কদরে আল্লাহ তাআলা বলেন,
"নিশ্চয়ই আমি এটি (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাঈল) অবতরণ করেন তাদের রবের নির্দেশে সব বিষয়ে। এটি শান্তির রাত, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।" (সূরা আল-কদর, ৯৭:১-৫)
এই রাতে পবিত্র কুরআন প্রথমবারের মতো নাজিল হয়েছিল, তাই মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগি, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও জিকিরের মাধ্যমে রাতটি কাটান।
১. নফল নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত: এ রাতে বেশি পরিমাণে নফল নামাজ পড়া, কুরআন পাঠ ও তাফসির অধ্যয়ন করা উত্তম।
২. দোয়া ও ইস্তিগফার: রাসুল (সা.) বলেছেন, "কদরের রাতে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি’ (হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও) দোয়া পড়ার কথা উল্লেখ করেছেন।" (তিরমিজি)
৩. সাদকাহ ও সমাজসেবা: গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা এবং পরিবার-সমাজে শান্তি বজায় রাখা।
৪. ইতিকাফ: অনেক মুসলিম রমজানের শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ করে এই রাতের সন্ধান করেন।
বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে আজ বিশেষ তারাবিহ, কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হবেন। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে।
স্বদেশ চিত্র-এর পক্ষ থেকে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য শবে কদরের মোবারকবাদ। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে এই রাতের বরকত ও মাগফিরাত লাভের তাওফিক দিন। আমিন।