ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারিয়াকান্দি পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথল মাদারগঞ্জ ঘাট বেড়া পাঁচবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করছে।
হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য।

কারখানার দুষিত কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এই অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা মালিক জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি ১। মোস্তাক খান ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ২।হেলাল মীর একই উপজেলার ৩।এনামুল হক।

সরজমিনে গিয়ে কারখানাটিতে দেখা যায় ২৮ থেকে ৩০ বছরের ১০ / ১৫ জন শ্রমিক কেউ ব্যাটারি থেকে প্লেট বের করছে, কেউ রাতে কাঠ কয়লার আগুন জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করার জন্য চুলার পাশে প্লেট সাজাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ৮/১০ এলাকাবাসী বলেন, মাদারগঞ্জ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী চলাচল করেন। দিনে অ্যাসিড আর রাতে ধোঁয়ার গন্ধ এলাকাবাসীর জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কারখানাটির পশ্চিম পাশে যমুনা নদী ও মাদারগঞ্জ ফেরিঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ নদী পারাপার হয়। এ ছাড়া কারখানাটির পুর্ব পাশে বসতবাড়ি ও আশ্রয় প্রকল্পের বসতবাড়ি। উওর দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্হিত।

প্রতিদিন রাত্রি ৮:০০ ঘটিকা হইতে ভোর ৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন চুল্লিতে কাঠ কয়লার আগুনে পুরাতন ব্যাটারির প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে ,তখন আশেপাশের এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের কষ্টসাধ্য হয় ও নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

এই কারখানার ধোঁয়ার ফলে আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের নাক মুখ চোখ জ্বালা করে ,এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।

আমরা এদের কাছে অসহায় কখনো জোর করে কাউকে কিছু বলতে পারি না প্রাণভয়ে কারণ এদের অনেক মাস্তান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আছে।
যারা বিভিন্ন ভয় দেখায়,আমরা সাধারণ মানুষ সবসময় এদের কাছে জিম্মি ও অসহায়।

এলাকাবাসী জানান কারখানাটির দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য আশেপাশের মাঠের ফসল গাছের ফল নদীর মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

এলাকাবাসী আরও জানান এই কারখানার আশপাশের জমি ও মাঠের ঘাস কেটে গবাদিপশুকেও খাওয়াতে পারছেনা পশুর মৃত্যুর ভয়ে।
তারা আরও বলেন এই কারখানার আশেপাশের মাঠের ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে এই ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়িয়ে যতোদূর গিয়ে পড়বে সেই এলাকার ঘাস ও ধানের খড় খেলেই গরু মারা যাবে নিশ্চিত।

এরই সুত্র ধরে গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা নিউজ ও টেলিভিশন নিউজে জানা যায়।

২০২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সিসা তৈরির কারখানায় ৩ মাসে ২৫টি গরু মারা গেছে।
সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।

২০২৩ সালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সিসা তৈরির কারখানা কারনে ৭ গরুর মৃত্যু।
সুত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর

২০২৩ সালে সিসা কারখানার নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য খালে হবিগঞ্জের মাধবপুরে পানি খেয়ে ১২ গরুর মৃত্যু।
সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা।

২০২৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল সিসা তৈরি কারখানা এলাকার মাঠের ঘাস, লতা ও আঁখের পাতা খেয়ে ১২টি গরু মারা গেছে।
সুত্রঃ বাংলাভিশন টেলিভিশন।

২০২২ সালে ধামরাই সিসা তৈরি কারখানায় তিন মাসে ৮ গরুর মৃত্যু, অসুস্থ অর্ধশতাধিক।
সুত্রঃ দৈনিক জনবানী

২০২২ সালে নরসিংদীর বেলাবতে পাঁচ দিনে হাফিজ অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স নামের একটি খামারে একে একে পাঁচটি গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।

২০২২ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সিসা তৈরি কারখানার পাশে দুটি গ্রামে ৩০টি গরুর মৃত্যু।
সুত্রঃ আজকের পত্রিকা।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় ১২ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
সুত্রঃ Rtv

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাবুরপুকুর এলাকায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানার পাশের জমির ঘাস খেয়ে ১ গরীব কৃষকের ২ টি গরু মারা যায় পরবর্তীতে এলাবাসীর অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করে।

২০২৫ সালের জানুয়ারি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ইট ভাটায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া।

গুগলে সার্চ দিয়ে জানাযায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন আরও শতাধিক কারখানার কারণে গরু মারা গেছে এমন তথ্য মেলে,আরও জানাযায় দেশের যে যে এলাকায় পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানা করে সেই এলাকার মাঠের ধান নষ্ট, পুকুর ও বিলের মাছের নিধন হয়েছে।

কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কিছু বলেনা?

শ্রমিকরা বলেন এতে আমাদের শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়,থানা পুলিশ তেমন কিছু বলেনা কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বা এসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে কেউ জানালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।

কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ হেলাল মীর এর নিকট পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছেকিনা জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের কোনো কাগজপত্র নেই সবাইকে ম্যানেজ করেই কারখানা চালাতে হয়।

আপনারা নিউজ করলে করেন সমস্যা নাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি,নিউজ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক,ইউএনও, এসিল্যান্ড এনারাইতো আসবে দেখা যাবে নিউজ করে কি করতে পারেন।

এলাকার সচেতন মহল অতি দ্রুত পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানাটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ করার জন্য রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ,রাজশাহী বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বগুড়া জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার,বগুড়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সারিয়াকান্দি পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য

সারিয়াকান্দি পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:৪০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথল মাদারগঞ্জ ঘাট বেড়া পাঁচবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করছে।
হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য।

কারখানার দুষিত কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এই অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা মালিক জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি ১। মোস্তাক খান ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ২।হেলাল মীর একই উপজেলার ৩।এনামুল হক।

সরজমিনে গিয়ে কারখানাটিতে দেখা যায় ২৮ থেকে ৩০ বছরের ১০ / ১৫ জন শ্রমিক কেউ ব্যাটারি থেকে প্লেট বের করছে, কেউ রাতে কাঠ কয়লার আগুন জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করার জন্য চুলার পাশে প্লেট সাজাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ৮/১০ এলাকাবাসী বলেন, মাদারগঞ্জ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী চলাচল করেন। দিনে অ্যাসিড আর রাতে ধোঁয়ার গন্ধ এলাকাবাসীর জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কারখানাটির পশ্চিম পাশে যমুনা নদী ও মাদারগঞ্জ ফেরিঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ নদী পারাপার হয়। এ ছাড়া কারখানাটির পুর্ব পাশে বসতবাড়ি ও আশ্রয় প্রকল্পের বসতবাড়ি। উওর দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্হিত।

প্রতিদিন রাত্রি ৮:০০ ঘটিকা হইতে ভোর ৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন চুল্লিতে কাঠ কয়লার আগুনে পুরাতন ব্যাটারির প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে ,তখন আশেপাশের এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের কষ্টসাধ্য হয় ও নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

এই কারখানার ধোঁয়ার ফলে আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের নাক মুখ চোখ জ্বালা করে ,এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।

আমরা এদের কাছে অসহায় কখনো জোর করে কাউকে কিছু বলতে পারি না প্রাণভয়ে কারণ এদের অনেক মাস্তান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আছে।
যারা বিভিন্ন ভয় দেখায়,আমরা সাধারণ মানুষ সবসময় এদের কাছে জিম্মি ও অসহায়।

এলাকাবাসী জানান কারখানাটির দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য আশেপাশের মাঠের ফসল গাছের ফল নদীর মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

এলাকাবাসী আরও জানান এই কারখানার আশপাশের জমি ও মাঠের ঘাস কেটে গবাদিপশুকেও খাওয়াতে পারছেনা পশুর মৃত্যুর ভয়ে।
তারা আরও বলেন এই কারখানার আশেপাশের মাঠের ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে এই ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়িয়ে যতোদূর গিয়ে পড়বে সেই এলাকার ঘাস ও ধানের খড় খেলেই গরু মারা যাবে নিশ্চিত।

এরই সুত্র ধরে গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা নিউজ ও টেলিভিশন নিউজে জানা যায়।

২০২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সিসা তৈরির কারখানায় ৩ মাসে ২৫টি গরু মারা গেছে।
সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।

২০২৩ সালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সিসা তৈরির কারখানা কারনে ৭ গরুর মৃত্যু।
সুত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর

২০২৩ সালে সিসা কারখানার নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য খালে হবিগঞ্জের মাধবপুরে পানি খেয়ে ১২ গরুর মৃত্যু।
সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা।

২০২৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল সিসা তৈরি কারখানা এলাকার মাঠের ঘাস, লতা ও আঁখের পাতা খেয়ে ১২টি গরু মারা গেছে।
সুত্রঃ বাংলাভিশন টেলিভিশন।

২০২২ সালে ধামরাই সিসা তৈরি কারখানায় তিন মাসে ৮ গরুর মৃত্যু, অসুস্থ অর্ধশতাধিক।
সুত্রঃ দৈনিক জনবানী

২০২২ সালে নরসিংদীর বেলাবতে পাঁচ দিনে হাফিজ অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স নামের একটি খামারে একে একে পাঁচটি গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।

২০২২ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সিসা তৈরি কারখানার পাশে দুটি গ্রামে ৩০টি গরুর মৃত্যু।
সুত্রঃ আজকের পত্রিকা।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় ১২ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
সুত্রঃ Rtv

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাবুরপুকুর এলাকায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানার পাশের জমির ঘাস খেয়ে ১ গরীব কৃষকের ২ টি গরু মারা যায় পরবর্তীতে এলাবাসীর অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করে।

২০২৫ সালের জানুয়ারি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ইট ভাটায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া।

গুগলে সার্চ দিয়ে জানাযায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন আরও শতাধিক কারখানার কারণে গরু মারা গেছে এমন তথ্য মেলে,আরও জানাযায় দেশের যে যে এলাকায় পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানা করে সেই এলাকার মাঠের ধান নষ্ট, পুকুর ও বিলের মাছের নিধন হয়েছে।

কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কিছু বলেনা?

শ্রমিকরা বলেন এতে আমাদের শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়,থানা পুলিশ তেমন কিছু বলেনা কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বা এসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে কেউ জানালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।

কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ হেলাল মীর এর নিকট পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছেকিনা জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের কোনো কাগজপত্র নেই সবাইকে ম্যানেজ করেই কারখানা চালাতে হয়।

আপনারা নিউজ করলে করেন সমস্যা নাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি,নিউজ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক,ইউএনও, এসিল্যান্ড এনারাইতো আসবে দেখা যাবে নিউজ করে কি করতে পারেন।

এলাকার সচেতন মহল অতি দ্রুত পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানাটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ করার জন্য রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ,রাজশাহী বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বগুড়া জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার,বগুড়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন।