ফুলছড়ি প্রতিনিধি :

ফুলছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র-যুগ্ন আহ্বান তৈয়ব আলীর ফেসবুকে একটি পোস্ট করাতেই ভেঙে ফেলা হয়েছে ফুলছড়ি থানায় শেখ হাসিনার নাম সম্বলিত নামফলক নেমপ্লেটি।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টে তিনি সেই নামফলকের ছবি সংযোজন করে লিখেন গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত একটি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের নামফলক (নেমপ্লেট) এখনো ফুলছড়ি থানায় দৃশ্যমান রয়েছে। সেটি আবার ফুলছড়ি থানা ভবনের প্রবেশ পথের মূল ফটোকে অবস্থিত।

ছাত্র নেতা তৈয়ব পোস্টে আরো বলেন যেখানে সারা দেশে ফ্যাসিস্ট দমনে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। দেশের ছাত্র-জনতা বুলডুজার প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। সেখানে কিভাবে একটি থানার মূল প্রবেশপথে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাম এখনো দৃশ্যমান থাকে। এই কার্যকালাপে বোঝা যায় ফুলছড়ি থানার ওসি ফ্যাসিস্ট এর দালাল এবং ওসির অতিবিলম্বে অপসারণ চাই। নতুবা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি পোস্ট করেছিলেন।

এই পোস্টের পর থেকে ফুলছড়ি উপজেলায় সর্বত্ররে ব্যাপক আলোড়ন ও তোল পাড় সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মহলে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। সেই সাথে ছাত্র-জনতা ও বিএনপি- জামাত নেতাদের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হতে থাকে।

এর কিছুক্ষণ পর বিষয়টি ফুলছড়ি থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমানের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক থানা ভবনের প্রবেশপথে"২৫ জানুয়ারি ২০১৪ ফুলছড়ি থানার ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা" সম্বলিত এই নামফলকটি হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হাফিজুর রহমান।

অন্যদিকে যখন দেশব্যাপী বুলডোজার কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় ও উপজেলায় শেখ মুজিবরের ভাস্কর্য, শেখ হাসিনার নাম ফলক মুছে ফেলা, আওয়ামীলীগের দলীয় অফিস ভাঙচুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নাগরিক কমিটি সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও। নিশ্চুপ ও নিরব ভূমিকায় রয়েছেন ফুলছড়ি উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নাগরিক কমিটি সদস্যরা। তবে ফুলছড়ি উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নাগরিক কমিটির সদস্যরা নিরব ও নিশ্চুপ ভূমিকায় থাকলেও। তাদের ভূমিকায় ফুলছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র-যুগ্ন আহ্বান তৈয়ব আলী।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা শাখার মুখপাত্র জাহিদ হাসান জীবন বলেন, ফুলছড়ির মাটিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের কোন চিহ্ন রাখা হবে না। প্রশাসনের নিজ উদ্যোগে এসব স্থাপনা যত দ্রুত সম্ভব অদৃশ্য করতে হবে। তা না হলে ছাত্ররা নিজ উউদ্যোগে এসব ফলক সরানোর কাজ করবে।