বিশেষ প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাইভেট ল্যাবে রোগী পাঠানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রিয়া রানী দাস নামে এক নারী কর্মচারীকে মারধর করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবের পরিচালক মো: মেজবাহ।
রোববার (২ মার্চ) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মেজবাহ রামগতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা:জামাল উদ্দিনের আপন ভাই ও স্থানীয় গুড উইল ডায়াগনস্টিক ও ডক্টরস সেন্টারের পরিচালক।
মারধরের শিকার প্রিয়া রানী দাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্টের সহকারী। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রিয়া রানী দাস।
জানা গেছে, রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই গুড উইল ডায়াগনস্টিক ও ডক্টরস সেন্টার ও খন্দকার ডায়াগনস্টিক নামে দুটি প্রাইভেট ল্যাব অবস্থিত। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষার জন্য ওই ল্যাবগুলাতে রোগী পাঠানোর জন্য প্রিয়া দাসের উপর চাপ প্রয়োগ করেন পরিচালকগণ।
ঘটনার সময় একজন রোগী খন্দকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে গুড উইল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মেজবাহ হাসপাতালে ঢুকে প্রিয়া রানীকে গালিগালাজ করে, খন্দকারের ল্যাবে ওই রোগী সে পাঠিয়েছে বলে তাকে একপর্যায়ে মারধর করে।
ভুক্তভোগী প্রিয়া রানী দাস বলেন, "খন্দকার ল্যাবে রোগী পাঠাই উনার ল্যাবে পাঠাইনা এই বলে আমাকে গালিগালাজ ও মারধর করেছে গুড উইল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মেজবাহ। বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান
অভিযুক্ত মেজবাহ বলেন, প্রিয়া রানী বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে সবসময় খন্দকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠায়।আমি এমন কাজ না করতে অনুরোধ করেছি।মারধরের ঘটনা সত্য নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আর এমও) ডা: মাসুদ জাহান বলেন, হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে হাসপাতালের স্টাফ কে মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রিয়া রানীকে মামলা করার জন্য থানায় পাঠিয়েছি।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো: কবির হোসেন বলেন, মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।