ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়াতেই পারল না আফগানিস্তান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 35

স্পোর্টস ডেস্ক:প্রথমবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। একেবারে একপেশে এক ম্যাচে প্রোটিয়ারা ১০৮ রানের বড় জয় পেয়েছে। যদিও আফগানদের জন্য সান্ত্বনা হতে পারত রহমত শাহ’র সেঞ্চুরি। কিন্তু তিনি শেষমুহূর্তে আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৯০ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৩১৫ রানের জবাবে ২০৮ রানেই গুটিয়ে গেছে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দল।

করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা যতটা অনায়াসে খেলতে পেরেছে, তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে পরের ইনিংসে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় এক রহমত শাহ ছাড়া আফগানিস্তানের আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। বিপর্যয়ের শুরুটা হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (১০) দিয়ে। দলীয় ১৬ রানেই তিনি লুঙ্গি এনগিডির বুক সমান বাউন্সে খেলতে গিয়ে ঠিকঠাক ছোঁয়াতে পারেননি ব্যাট, লেগস্লিপে দাঁড়ানো কেভশ মহারাজ ডাইভ দিয়ে সেটি তালুবন্দী করেন।

 

আফগানিস্তান দলে একটি চিত্র প্রায় পরিচিত–ই। ওপেনাররা রান পেলে ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত পায় দলটি। আজকেও সেটাই হলো, দুই ওপেনার রান না পাওয়ায় বড় জুটি গড়তে পারেনি আফগানরা। গুরবাজের পর আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও কাগিসো রাবাদার সোজাসুজি আসা একটি বলে বোল্ড হয়ে বসেন। এর আগে তার ব্যাটে আসে ১৭ রান। এভাবে নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়েছেন সেদিকউল্লাহ অটল (১৬), অধিনায়ক শহিদী (০) ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা (১৮)। একপ্রান্তে রহমত শাহ অটল থাকলেও, আরেকপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ নবি (৮), গুলবাদিন নাইব (১৩) ও রশিদ খান (১৮)।

যোগ্য সঙ্গ না পেলেও ম্যাচের ৪৪তম ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন রহমত। এরপর শেষ উইকেটে তিনি ৪৩.৩ ওভারে রাবাদার বলে উইকেটরক্ষক রিকেলটনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। দলের হারের সঙ্গে সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশাও যোগ হলো তার, অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। তবে তাতে কাজ হয়নি। এর আগে ডানহাতি ব্যাটার রহমত ৯২ বলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় ৯০ রান করেন। আর আফগানিস্তান ৩৯ বল বাকি থাকতেই ২০৮ রানে অলআউট হয়ে বড় হার নিশ্চিত করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেছেন রাবাদা। এ ছাড়া এনগিডি ও উইয়ান মুল্ডার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৩১৫ রান সংগ্রহ করে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতেই নেমেই সেঞ্চুরি করেছেন প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেলটন। তার ১০৩ ছাড়াও টেম্বা বাভুমা ৫৮, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম সমান ৫২ রান করেছেন। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। এ ছাড়া ফারুকি, ওমরজাই এবং নুর আহমেদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। এ ছাড়া ফারুকি, ওমরজাই এবং নুর আহমেদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় ৫ বছর বয়সী শিশুর কে যৌন নিপীড়ন অভিযোগ।

দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়াতেই পারল না আফগানিস্তান

Update Time : ০৬:০০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক:প্রথমবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। একেবারে একপেশে এক ম্যাচে প্রোটিয়ারা ১০৮ রানের বড় জয় পেয়েছে। যদিও আফগানদের জন্য সান্ত্বনা হতে পারত রহমত শাহ’র সেঞ্চুরি। কিন্তু তিনি শেষমুহূর্তে আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৯০ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৩১৫ রানের জবাবে ২০৮ রানেই গুটিয়ে গেছে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দল।

করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা যতটা অনায়াসে খেলতে পেরেছে, তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে পরের ইনিংসে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় এক রহমত শাহ ছাড়া আফগানিস্তানের আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। বিপর্যয়ের শুরুটা হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (১০) দিয়ে। দলীয় ১৬ রানেই তিনি লুঙ্গি এনগিডির বুক সমান বাউন্সে খেলতে গিয়ে ঠিকঠাক ছোঁয়াতে পারেননি ব্যাট, লেগস্লিপে দাঁড়ানো কেভশ মহারাজ ডাইভ দিয়ে সেটি তালুবন্দী করেন।

 

আফগানিস্তান দলে একটি চিত্র প্রায় পরিচিত–ই। ওপেনাররা রান পেলে ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত পায় দলটি। আজকেও সেটাই হলো, দুই ওপেনার রান না পাওয়ায় বড় জুটি গড়তে পারেনি আফগানরা। গুরবাজের পর আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও কাগিসো রাবাদার সোজাসুজি আসা একটি বলে বোল্ড হয়ে বসেন। এর আগে তার ব্যাটে আসে ১৭ রান। এভাবে নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়েছেন সেদিকউল্লাহ অটল (১৬), অধিনায়ক শহিদী (০) ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা (১৮)। একপ্রান্তে রহমত শাহ অটল থাকলেও, আরেকপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ নবি (৮), গুলবাদিন নাইব (১৩) ও রশিদ খান (১৮)।

যোগ্য সঙ্গ না পেলেও ম্যাচের ৪৪তম ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন রহমত। এরপর শেষ উইকেটে তিনি ৪৩.৩ ওভারে রাবাদার বলে উইকেটরক্ষক রিকেলটনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। দলের হারের সঙ্গে সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশাও যোগ হলো তার, অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। তবে তাতে কাজ হয়নি। এর আগে ডানহাতি ব্যাটার রহমত ৯২ বলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় ৯০ রান করেন। আর আফগানিস্তান ৩৯ বল বাকি থাকতেই ২০৮ রানে অলআউট হয়ে বড় হার নিশ্চিত করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেছেন রাবাদা। এ ছাড়া এনগিডি ও উইয়ান মুল্ডার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৩১৫ রান সংগ্রহ করে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতেই নেমেই সেঞ্চুরি করেছেন প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেলটন। তার ১০৩ ছাড়াও টেম্বা বাভুমা ৫৮, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম সমান ৫২ রান করেছেন। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। এ ছাড়া ফারুকি, ওমরজাই এবং নুর আহমেদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। এ ছাড়া ফারুকি, ওমরজাই এবং নুর আহমেদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।