ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় প্রতারকের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত রানা মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 42

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা। টাকা ফেরত চাওয়ায় পাল্টা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ ভুক্তভোগী মাহমুদুল হক রানার। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরান গ্রামের মৃত ছাদেক আলী মাষ্টারের পুত্র।

মাহমুদুল হক রানার দাবী, একই উপজেলার বেকাটারী গ্রামের আশেক আলীর পুত্র বিদেশ প্রবাসী মিজানুর রহমান মিজান বিদেশে লোক পাঠানোর নামে গত ১৯-০৬-২০২৪ ইং তারিখে ৩’শ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি বদ্ধ হন। চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী তিনি ১৬ জন লোকের জন্য কাগজপত্রসহ মোট ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে ৮ মাসেও কেউ বিদেশ গমন করতে না পারলে টাকা ফেরতের জন্য তাগদা করলে অল্প কিছু টাকা দেন। বাদবাকি টাকা চাইতে গেলে মিজানুর রহমান মিজান টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করায় লিগ্যাল নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মিজানুর রহমান মিজান এর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন প্রতারণার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় চাকুরি দেয়ার নামে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মর্মে মিথ্যা দাবী করে তাকেসহ বোন চাঁদপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম এর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। যাহা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও হয়রানিমুলক। মাহমুদুল হক রানা দাবী করেন, আমি ঢাকায় একটি বায়িং কোম্পানিতে চাকুরি করি। শাহনাজ পারভীনকে চাকুরি দেয়ার ক্ষমতা আমার কিংবা আমার বোনের নেই। আমি প্রশাসনের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মাহমুদা বেগম এর সাথে কথা হলে জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। মাহমুদুল হক রানা আমার ভাই। মিজানুর রহমান মিজান নিকটতম আত্মীয়। তার সাথে আমার ভাইয়ের কি নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে আমি জানিনা। এর সুত্র ধরে বেকায়দায় ফেলতে আমাকে জড়িয়ে অভিযোগ করেছে। আমার স্বামী একজন কৃষক। ছেলে-মেয়েরা পড়া লেখা করেন। কাউকে চাকুরি দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।

চাঁদপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়নুন্নাহার জানান, এ বিষয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি। বিধায় আমি কিছুই জানি না। এ সময় অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, মাহমুদা বেগম একজন সহজ-সরল মহিলা। তিনি এধরণের কাজ করবেন এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।

অপর দিকে, এ বিষয়ে শাহনাজ পারভীন এর সাথে কথা হলে রানার অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে জানান, রানা আত্মীয় হিসেবে আমাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতো। স্বামী মিজানুর রহমান মিজান বিদেশে আছেন। বরংচ রানা আমাদের বাড়ীতে যাতায়াতের এক পর্যায়ে আমাকে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা প্রদানের স্বপক্ষে কোন প্রমানাদী আছে কি না জানতে চাওয়া হলে জানান, এ গুলো বর্তমানে আমার কাছে নেই।

সচেতন মহলের ধারনা, প্রশাসন তৎপর হলে সঠিক তদন্তে বেড়িয়ে আসবে ঘটনার আসল নেপথ্য। সেই সাথে ঘটবে সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় ৫ বছর বয়সী শিশুর কে যৌন নিপীড়ন অভিযোগ।

গাইবান্ধায় প্রতারকের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত রানা মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার

Update Time : ০৩:৫৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা। টাকা ফেরত চাওয়ায় পাল্টা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ ভুক্তভোগী মাহমুদুল হক রানার। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরান গ্রামের মৃত ছাদেক আলী মাষ্টারের পুত্র।

মাহমুদুল হক রানার দাবী, একই উপজেলার বেকাটারী গ্রামের আশেক আলীর পুত্র বিদেশ প্রবাসী মিজানুর রহমান মিজান বিদেশে লোক পাঠানোর নামে গত ১৯-০৬-২০২৪ ইং তারিখে ৩’শ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি বদ্ধ হন। চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী তিনি ১৬ জন লোকের জন্য কাগজপত্রসহ মোট ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে ৮ মাসেও কেউ বিদেশ গমন করতে না পারলে টাকা ফেরতের জন্য তাগদা করলে অল্প কিছু টাকা দেন। বাদবাকি টাকা চাইতে গেলে মিজানুর রহমান মিজান টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করায় লিগ্যাল নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মিজানুর রহমান মিজান এর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন প্রতারণার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় চাকুরি দেয়ার নামে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মর্মে মিথ্যা দাবী করে তাকেসহ বোন চাঁদপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম এর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। যাহা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও হয়রানিমুলক। মাহমুদুল হক রানা দাবী করেন, আমি ঢাকায় একটি বায়িং কোম্পানিতে চাকুরি করি। শাহনাজ পারভীনকে চাকুরি দেয়ার ক্ষমতা আমার কিংবা আমার বোনের নেই। আমি প্রশাসনের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মাহমুদা বেগম এর সাথে কথা হলে জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। মাহমুদুল হক রানা আমার ভাই। মিজানুর রহমান মিজান নিকটতম আত্মীয়। তার সাথে আমার ভাইয়ের কি নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে আমি জানিনা। এর সুত্র ধরে বেকায়দায় ফেলতে আমাকে জড়িয়ে অভিযোগ করেছে। আমার স্বামী একজন কৃষক। ছেলে-মেয়েরা পড়া লেখা করেন। কাউকে চাকুরি দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।

চাঁদপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়নুন্নাহার জানান, এ বিষয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি। বিধায় আমি কিছুই জানি না। এ সময় অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, মাহমুদা বেগম একজন সহজ-সরল মহিলা। তিনি এধরণের কাজ করবেন এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।

অপর দিকে, এ বিষয়ে শাহনাজ পারভীন এর সাথে কথা হলে রানার অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে জানান, রানা আত্মীয় হিসেবে আমাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতো। স্বামী মিজানুর রহমান মিজান বিদেশে আছেন। বরংচ রানা আমাদের বাড়ীতে যাতায়াতের এক পর্যায়ে আমাকে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা প্রদানের স্বপক্ষে কোন প্রমানাদী আছে কি না জানতে চাওয়া হলে জানান, এ গুলো বর্তমানে আমার কাছে নেই।

সচেতন মহলের ধারনা, প্রশাসন তৎপর হলে সঠিক তদন্তে বেড়িয়ে আসবে ঘটনার আসল নেপথ্য। সেই সাথে ঘটবে সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান।