ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি মামলার আসামি যখন দুদক পরিচালক!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 27

সাঈদ আহমেদঃ
কক্সবাজার পৌরসভায় ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (পিবিআই)র ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২। তদন্তে অনেকের সঙ্গে মামলাটির আসামি হয়েছেন উপ-সচিব আমিন আল পারভেজ (আইডি নং:১৬৩৭২)। সংস্থার দু’জন মহাপরিচালকের ইশারায় তদন্ত প্রতিদেনটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দুদকের পরিচালক হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ পেয়েছেন আমিন-আল পারভেজ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানাযায়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল হায়াত মো: রফিককের স্বাক্ষরে তাকে এ নিয়োগ দেয়া হয়। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত তিনি দুদকে যোগদান করেন নি বলে জানা গেছে। দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দায়িত্ব পালনকালে পিবিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণ মামলায় (এলএ কেস) আমিন আল পারভেজ ছিলেন ৩০ নম্বর আসামি। মামলার তদন্ত হয় দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা)-২ এ। সংস্থার একজন উপ-সহকারি পরিচালক এটি (নং-১, তারিখ : ১০.০৩/২০২০ ইং ও স্পেশাল মামলা নং ০৬/২০২০ ইং) তদন্ত করেন। তদন্তে প্রকল্পের ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮শ’ ৩৬ টাকা ৮৩ পয়সা আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ২০২০ সালে।
২৫২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আমিন আল পারভেজ সম্পর্কে বলা হয়, তিনি অসদুদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয়ে পরষ্পর যোগসাজশে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজে লাভবান হন। অন্যকে অন্যায়ভাবে লাভবান করার নিমিত্তে প্রতারণাপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ‘মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্স’র আপত্তির প্রেক্ষিতে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমিন আল পারভেজ ভূমি অধিগ্রহণ আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা সত্ত্বেও ‘চন্দ্রিমা হাউজিং’র জমিকে ‘অধিগ্রহণের অং’ দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক দালিলিক রেকর্ড ও ফিল্ডবুক অনুযায়ী নোট ফাইল এবং আদেশ ছাড়াই চেক প্রদানের বৈধতা দিয়েছেন। ‘চন্দ্রিমা বহুমুখি সমিতি লি:’র অবৈধ দলিল ও জাল খতিয়ান খাঁটি/সঠিক হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে উক্ত বাতিল ও স্থগিত খতিয়ান ও দলিলমূলে টাকা প্রদান, বিএস ২০৩০৭ দাগের ২৫/০৩/২০২০ তারিখে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৭.৯২ টাকার পেমেন্টের নথিতে তারিবিহীন ৩শ’ টাকার অঙ্গিকারনামা,ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকা, প্রত্যেকটি নথিতে অসম্পূর্ণ রেকর্ড/তথ্য থাকা সত্ত্বেও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা, পাওয়ার গ্রহিতাদের জমির মালিকানা দেখিয়ে পুনরায় রোয়েদাদভুক্ত করে পাওয়ার গ্রহিতাদের অনুকূলে চেক প্রদানের বিষয়টি জেনেও গোপন রাখেন। ৪ ধারা ও ৭ ধারা গোপন করার বিষয়টি জেনেও তদন্তে সেটি গোপন করেন। অসদুদ্দেশ্যে নাজিমউদ্দিনের দরখাস্ত দু’টি গায়েব করে পেমেন্ট থেকে বঞ্চিত করেন। তার টাকা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে আত্মসাত করেন। মোহাম্মদ ইলিয়াছ সওদাগরের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদনের ৮ নম্বর পাতায় ‘স ও জ’র এল.এ. কেইস নং ১৩/১৯৯১-৯২এর অবশিষ্ট জায়গায় কোনো ধরণের রেকর্ড/তথ্য না দিয়ে একতরফাভাবে সিন্ডিকেট করে ৯ শতকের টাকা ডবল অধিগ্রহণ করিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির দায়িত্বে থেকে একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তদন্তে আমিন আল পারভেজের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুই নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করা হয়।
৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে আত্মসাৎ ২২ কোটি টাকারও বেশি। এ ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের বাঁচাতে প্রথম মামলা করা হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিম খান,একই কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো: ফেরদৌস খান,সার্ভেয়ার মো: ফরিদউদ্দিনের বিরুদ্ধে। পরে দুদকের তদন্তে বেরিয়ে আসে আমিন আল পারভেজসহ অন্তত: তিন ডজন কর্মকর্তা-কর্মচারির নাম। এর মধ্যে এলএ কেসের তদন্ত করেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিন আল পারভেজসহ তিন কর্মকর্তা। দুদকের তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাও প্রমাণিত হয়। কারণ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
অর্থ আত্মসাৎ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যেখানে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আমিন আল পারভেজ এখন কারাগারে থাকার কথা, সেখানে তাকে করা হয়েছে দুদকের পরিচালক। সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজের এ মামলাটি ‘গায়েব’ করতে পারভেজ কৌশলে দুদকের পরিচালক পদে পোস্টিংয়ের আদেশ করিয়েছেন। আরেকটি সূত্র জানায়, মো: আমিন আল পারভেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব (বহিরাগমন-৪ শাখা,নিরাপত্তা-৪ শাখা)য় কর্মরত । দুদকে নিয়োগ পাওয়ার আগে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সচিব ছিলেন। এ সময় দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘনিষ্টতা হয় পারভেজের। সেইসূত্রে দুদক চেয়ারম্যান নিজেই ‘চাহিদাপত্র’ দিয়ে আমিন আল পারভেজকে এ পদে নিয়ে এসেছেন। তবে এ বিষয়ে গতকাল সোমবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, আমরা কোনো বিতর্কে থাকতে চাই না। তার নিয়োগ এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে। আমরা তাকে নিচ্ছি না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় ৫ বছর বয়সী শিশুর কে যৌন নিপীড়ন অভিযোগ।

দুর্নীতি মামলার আসামি যখন দুদক পরিচালক!

Update Time : ০৯:৪৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাঈদ আহমেদঃ
কক্সবাজার পৌরসভায় ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (পিবিআই)র ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২। তদন্তে অনেকের সঙ্গে মামলাটির আসামি হয়েছেন উপ-সচিব আমিন আল পারভেজ (আইডি নং:১৬৩৭২)। সংস্থার দু’জন মহাপরিচালকের ইশারায় তদন্ত প্রতিদেনটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দুদকের পরিচালক হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ পেয়েছেন আমিন-আল পারভেজ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানাযায়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল হায়াত মো: রফিককের স্বাক্ষরে তাকে এ নিয়োগ দেয়া হয়। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত তিনি দুদকে যোগদান করেন নি বলে জানা গেছে। দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দায়িত্ব পালনকালে পিবিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণ মামলায় (এলএ কেস) আমিন আল পারভেজ ছিলেন ৩০ নম্বর আসামি। মামলার তদন্ত হয় দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা)-২ এ। সংস্থার একজন উপ-সহকারি পরিচালক এটি (নং-১, তারিখ : ১০.০৩/২০২০ ইং ও স্পেশাল মামলা নং ০৬/২০২০ ইং) তদন্ত করেন। তদন্তে প্রকল্পের ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮শ’ ৩৬ টাকা ৮৩ পয়সা আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ২০২০ সালে।
২৫২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আমিন আল পারভেজ সম্পর্কে বলা হয়, তিনি অসদুদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয়ে পরষ্পর যোগসাজশে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজে লাভবান হন। অন্যকে অন্যায়ভাবে লাভবান করার নিমিত্তে প্রতারণাপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ‘মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্স’র আপত্তির প্রেক্ষিতে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমিন আল পারভেজ ভূমি অধিগ্রহণ আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা সত্ত্বেও ‘চন্দ্রিমা হাউজিং’র জমিকে ‘অধিগ্রহণের অং’ দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক দালিলিক রেকর্ড ও ফিল্ডবুক অনুযায়ী নোট ফাইল এবং আদেশ ছাড়াই চেক প্রদানের বৈধতা দিয়েছেন। ‘চন্দ্রিমা বহুমুখি সমিতি লি:’র অবৈধ দলিল ও জাল খতিয়ান খাঁটি/সঠিক হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে উক্ত বাতিল ও স্থগিত খতিয়ান ও দলিলমূলে টাকা প্রদান, বিএস ২০৩০৭ দাগের ২৫/০৩/২০২০ তারিখে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৭.৯২ টাকার পেমেন্টের নথিতে তারিবিহীন ৩শ’ টাকার অঙ্গিকারনামা,ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকা, প্রত্যেকটি নথিতে অসম্পূর্ণ রেকর্ড/তথ্য থাকা সত্ত্বেও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা, পাওয়ার গ্রহিতাদের জমির মালিকানা দেখিয়ে পুনরায় রোয়েদাদভুক্ত করে পাওয়ার গ্রহিতাদের অনুকূলে চেক প্রদানের বিষয়টি জেনেও গোপন রাখেন। ৪ ধারা ও ৭ ধারা গোপন করার বিষয়টি জেনেও তদন্তে সেটি গোপন করেন। অসদুদ্দেশ্যে নাজিমউদ্দিনের দরখাস্ত দু’টি গায়েব করে পেমেন্ট থেকে বঞ্চিত করেন। তার টাকা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে আত্মসাত করেন। মোহাম্মদ ইলিয়াছ সওদাগরের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদনের ৮ নম্বর পাতায় ‘স ও জ’র এল.এ. কেইস নং ১৩/১৯৯১-৯২এর অবশিষ্ট জায়গায় কোনো ধরণের রেকর্ড/তথ্য না দিয়ে একতরফাভাবে সিন্ডিকেট করে ৯ শতকের টাকা ডবল অধিগ্রহণ করিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির দায়িত্বে থেকে একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তদন্তে আমিন আল পারভেজের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুই নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করা হয়।
৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে আত্মসাৎ ২২ কোটি টাকারও বেশি। এ ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের বাঁচাতে প্রথম মামলা করা হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিম খান,একই কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো: ফেরদৌস খান,সার্ভেয়ার মো: ফরিদউদ্দিনের বিরুদ্ধে। পরে দুদকের তদন্তে বেরিয়ে আসে আমিন আল পারভেজসহ অন্তত: তিন ডজন কর্মকর্তা-কর্মচারির নাম। এর মধ্যে এলএ কেসের তদন্ত করেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিন আল পারভেজসহ তিন কর্মকর্তা। দুদকের তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাও প্রমাণিত হয়। কারণ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
অর্থ আত্মসাৎ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যেখানে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আমিন আল পারভেজ এখন কারাগারে থাকার কথা, সেখানে তাকে করা হয়েছে দুদকের পরিচালক। সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজের এ মামলাটি ‘গায়েব’ করতে পারভেজ কৌশলে দুদকের পরিচালক পদে পোস্টিংয়ের আদেশ করিয়েছেন। আরেকটি সূত্র জানায়, মো: আমিন আল পারভেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব (বহিরাগমন-৪ শাখা,নিরাপত্তা-৪ শাখা)য় কর্মরত । দুদকে নিয়োগ পাওয়ার আগে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সচিব ছিলেন। এ সময় দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘনিষ্টতা হয় পারভেজের। সেইসূত্রে দুদক চেয়ারম্যান নিজেই ‘চাহিদাপত্র’ দিয়ে আমিন আল পারভেজকে এ পদে নিয়ে এসেছেন। তবে এ বিষয়ে গতকাল সোমবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, আমরা কোনো বিতর্কে থাকতে চাই না। তার নিয়োগ এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে। আমরা তাকে নিচ্ছি না।