ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ে না করলে চাকরি হারানোর শঙ্কা! চীনের এক কোম্পানির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 23

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | স্বদেশ চিত্র

 

চীনের একটি কোম্পানি সম্প্রতি কর্মীদের বিয়ে করার নির্দেশ দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মীরা যদি বিয়ে না করেন, তবে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকবে।

 

কোম্পানির দাবি, কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে স্থিতিশীলতা থাকলে কাজের প্রতি মনোযোগ ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে। তারা মনে করে, কর্মীদের দাম্পত্য জীবন শুরু হলে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি হবে, যা কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

এই নিয়মের কারণে অনেক কর্মী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বিয়ে করা বা না করা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, এবং এ ধরনের চাপ তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।

 

কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়ম শ্রম আইনের পরিপন্থী হতে পারে এবং এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়টি মাথায় না রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিলে কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

 

বিষয়টি চীনের সামাজিক মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই একে অযৌক্তিক ও দমনমূলক নীতি হিসেবে অভিহিত করছেন।

 

চীনের শ্রম আইনে এমন কোনো নিয়ম নেই যা কোম্পানিগুলোকে কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দেয়। ফলে এটি আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় ৫ বছর বয়সী শিশুর কে যৌন নিপীড়ন অভিযোগ।

বিয়ে না করলে চাকরি হারানোর শঙ্কা! চীনের এক কোম্পানির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

Update Time : ০৩:২৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিয়ে না করলে চাকরি হারানোর শঙ্কা! চীনের এক কোম্পানির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | স্বদেশ চিত্র

 

চীনের একটি কোম্পানি সম্প্রতি কর্মীদের বিয়ে করার নির্দেশ দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মীরা যদি বিয়ে না করেন, তবে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকবে।

 

কোম্পানির দাবি, কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে স্থিতিশীলতা থাকলে কাজের প্রতি মনোযোগ ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে। তারা মনে করে, কর্মীদের দাম্পত্য জীবন শুরু হলে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি হবে, যা কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

এই নিয়মের কারণে অনেক কর্মী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বিয়ে করা বা না করা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, এবং এ ধরনের চাপ তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।

 

কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়ম শ্রম আইনের পরিপন্থী হতে পারে এবং এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়টি মাথায় না রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিলে কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

 

বিষয়টি চীনের সামাজিক মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই একে অযৌক্তিক ও দমনমূলক নীতি হিসেবে অভিহিত করছেন।

 

চীনের শ্রম আইনে এমন কোনো নিয়ম নেই যা কোম্পানিগুলোকে কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দেয়। ফলে এটি আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারে।